কোঁকড়া চুলের যত্ন যেভাবে নিবেন, জেনে নিন।
আসসালামুআলাইকুম।আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন।প্রতিবারের মতো আবারো আপনাদের মাঝে আরেকটি আর্টিক্যাল নিয়ে হাজির হলাম।টাইটেল দেখে অনেকে হয়তো বুঝে গেছেন, আজকে কোন বিষয় আপনাদের মাঝে লিখতে যাচ্ছি। আজকের বিষয় হলো,কোঁকড়া চুলের যত্ন যেভাবে নিবেন।কোঁকড়া চুল কিন্তু অনেকের হয়ে থাকে। কোঁকড়া চুল স্টাইল ভাল হয়। কোঁকড়া চুল অনেকের আবার পছন্দ না। কোঁকড়া চুল এর স্বাস্থ্য ঠিক রাখা ও অনেক কস্টকর।কোঁকড়া চুলে সাধারণত ধুলা-বালি, ময়লা খুব তাড়াতাড়ি জমে থাকে।অনেকে কোঁকড়া চুলে বিভিন্ন ক্যামিক্যাল ও রাসায়নিক উপাদান ব্যাবহার করে থাকে,এতে চুলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। কোঁকড়া চুলের যত্ন যেভাবে নিলে কোনো ক্ষতি হবে না আজকে আপনাদের মাঝে এটি শেয়ার করতে চলছি। যেভাবে আপনার কোঁকড়া চুলের যত্ন নিবেন খুব সহজে আজকে জানতে পারবেন। কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক, যেভাবে আপনার কোঁকড়া চুলের যত্ন নিবেনঃ
১) প্যাক ব্যাবহার করুনঃ
যাদের কোঁকড়া চুল তারা মাঝে মাঝে প্যাক ব্যাবহার করতে পারেন।চুলের রুক্ষতা ও শুস্কতা দূর করার জন্য সাধারণত প্যাক ব্যাবহার করতে বলা হয়ে থাকে। টক দই,পাকা কলা,মধু,পাকা পেঁপে এগুলা দিয়ে তৈরী হয় চুলের প্যাক।এই প্যাক গুলো ব্যাবহার করলে চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। প্রচুর পরিমান পানি ও তাজা ফল খেতে হবে। যাদের কোঁকড়া চুল তারা এই দিক গুলো মেনে চলবেন।
২)কন্ডিশনিং করতে হবেঃ
যাদের সাধারণত কোঁকড়া চুল, তাদের নিয়মিত কন্ডিশনার ব্যাবহার করা উচিৎ। কোঁকড়া চুল কন্ডিশনার ব্যাবহার করলে চুলের স্বাস্থ্য ও আদ্রতা ভাল থাকে।চুল নরম ও মসৃন হয় নিয়মিত কন্ডিশনার ব্যাবহার করলে।যে সব কন্ডিশনারে ক্যামিক্যাল নেই সেই সব কন্ডিশনার ব্যাবহার করতে হবে, তাহলে চুলের ক্ষতি হবে না।
৩) নিয়মিত তেল ম্যাসেজ করতে হবেঃ
কোঁকড়া চুল প্রাকৃতিক ভাবেই রুক্ষ ও শুস্ক। তাই কোঁকড়া চুলে নিয়মিত তেল মেসেজ করতে হবে। কোঁকড়া চুলে যদি একটু গরম করে তেল মেসেজ করতে পারেন তাহলে ভাল কাজে লাগবে।গরম তেল মাথায় লাগালে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়,এছাড়া ও চুলের গোড়া ও মজবুত হয়।
৪) হিট ট্রিটমেন্ট কে না বলুনঃ
অনেকে এই কোঁকড়া চুলকে ভাল দেখানোর জন্য হিট দেয়,আসলে এটা ঠিক না। চুলে হিট দিলে চুলের স্বাস্থ্য নস্ট হয়ে যায়। চুলে হিট দিলে চুল রুক্ষ হয়ে যায়। কখনো সাময়িক সুন্দর দেখানোর জন্য চুলে হিট দেয়া উচিৎ না।
৫) অতিরিক্ত ক্যামিক্যাল এড়িয়ে চলুনঃ
কোঁকড়া চুল এমনিতেই শুস্ক ও রুক্ষ হয়ে থাকে।কোঁকড়া চুলে বেশি ক্যামিক্যাল জাতীয় কোনো কিছু ব্যাবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারন এমন ও হতে পারে,বেশি ক্যামিক্যাল জাতীয় কিছু চুলে দিলে চুল ঝরে যেতে পারে।শ্যাম্পু,তেল এগুলা ব্যাবহার করার আগে যাছাই করে ব্যাবহার করবেন,যাতে এগুলাতে বেশি ক্যামিক্যাল না থাকে।
যাদের কোঁকড়া চুল, তাদের উপরের নিয়ম গুলো ফলো করে চলা উচিৎ, এবং যাদের কোঁকড়া চুল তাদের এভাবে যত্ন নেয়া উচিৎ।
টেকনিক্যাল বিষয়ে যাবতীয় ভিডিও ও সমাধান পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুনঃ
আজ এ পযন্ত,
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জ্ঞান আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেস্টা করি।
পরবর্তী আর্টিক্যাল এর জন্য অপেক্ষা করুন, আবারো ভাল কিছু নিয়ে হাজির হবো।
সে পযন্ত ভাল থাকুন,সুস্থ থাকুন।
যে কোনো প্রয়োজনে আমার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করতে চাইলেঃ- Sk Shipon
ধন্যবাদ[ad_2]
Source link
Comments
Post a Comment